চুল পড়া (Hair fall) বন্ধ করা ও চুল ঘন করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান
গর্ভাবস্থায় বা কোন অসুস্থতার কারণে বা জেনেটিক কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। চুল শুধু আপনার শরীরের একটি অংশই না এটি সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যের ও প্রতীক। চুলের সঠিক যত্ন নেয়া প্রয়োজন যাতে অসময়ে চুল পড়ে না যায়। এটি কোন মারাত্মক সমস্যা নয়। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলেই চুল পড়ারোধ করা যায়। কিছু ভেষজ ব্যবহার করে চুল পড়ার সমস্যা কমানো যায়। চুল পড়া বন্ধ করে চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, আপনার
চুল পড়া বন্ধ করা ও চুল ঘন করার জন্য কীভাবে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন
–
১।অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ কার্যকরী। মাথার তালুর রক্ত সংবহনকেও উদ্দীপিত করে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত মাথার তালুতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও চমৎকার ভাবে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো অ্যালোভেরা (Alovera) জেল নারিকেলের দুধের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ কার্যকরী। মাথার তালুর রক্ত সংবহনকেও উদ্দীপিত করে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত মাথার তালুতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও চমৎকার ভাবে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো অ্যালোভেরা (Alovera) জেল নারিকেলের দুধের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
২।পিপারমিন্ট
চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া কমানোর জন্য বহু কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে পিপারমিন্ট অয়েল। এছাড়াও চুলের মূলকে মাথার তালুর সাথে আবদ্ধ হয়ে থাকতে সাহায্য করে।এই তেল চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়।
চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া কমানোর জন্য বহু কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে পিপারমিন্ট অয়েল। এছাড়াও চুলের মূলকে মাথার তালুর সাথে আবদ্ধ হয়ে থাকতে সাহায্য করে।এই তেল চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়।
৩। ল্যাভেন্ডার
প্রতিদিন মাথায় ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করলে টেনশন ও মাথাব্যথা কমতে সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডারের চমৎকার ঘ্রাণ শুধু অনুভূতিকে শীতলতাই দান করেনা বরং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এবং টাক পড়া প্রতিরোধ করে। এই উভয় সমস্যাই চুল পড়ার বড় কারণ।
৪। মেথি
মেথি হচ্ছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার (Conditioner)। মেথির বীজ দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে কাদার মত গঠন হয়। এর সাথে মেহেদি, শিকাকাই ও আমলা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান।
মেথি হচ্ছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার (Conditioner)। মেথির বীজ দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে কাদার মত গঠন হয়। এর সাথে মেহেদি, শিকাকাই ও আমলা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান।
৫। হেনা বা মেহেদি
হেনা সাধারণত Hair Color করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। এটি চুলকে শক্তিশালী করা ও ঘন করার জন্য প্রোটিন ট্রিটমেন্টের মত কাজ করে। এটি চুলের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী।
হেনা সাধারণত Hair Color করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। এটি চুলকে শক্তিশালী করা ও ঘন করার জন্য প্রোটিন ট্রিটমেন্টের মত কাজ করে। এটি চুলের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী।
৬। নিম
নিমের তেল দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলকে শক্তিশালী, সিল্কি ও উজ্জ্বল করে। নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা ও চামড়া উঠার সমস্যা দূর হয় ও মাথার তালুর পুষ্টি পায়
নিমের তেল দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলকে শক্তিশালী, সিল্কি ও উজ্জ্বল করে। নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা ও চামড়া উঠার সমস্যা দূর হয় ও মাথার তালুর পুষ্টি পায়
৭। টমেটো
একটি টমেটো ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে মাথার স্কাল্পসহ ভালোভাবে ঐ টমেটো পেস্ট লাগিয়ে নিন। ৫-৭ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। টমেটোর অ্যান্টি ফাংগাল প্রোপার্টি মাথা থেকে খুশকি তাড়াবে এবং চুলকে করে তুলবে ঝলমলে উজ্জ্বল।Best Healthcare shop in Chittagong |
Best Healthcare shop in Chittagong
ভেষজ ঔষধি গুণসমৃদ্ধ বিদেশি
একটি গাছের ২টি পাতা নিয়ন্ত্রনে রাখবে ডায়াবেটিস , ব্লাড প্রেসার, কিডনি ,লিভার ও হার্টের রোগ
।
|
ডায়াবেটিস এখন একটি সুপরিচিত রোগ। কিন্তু এখন এর আছে সহজ চিকিৎসা। সকাল-বিকাল ইনসুলিন কিংবা ট্যাবলেট নয়, এবার আপনার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করবে ভেষজ ঔষধি গুণসমৃদ্ধ বিদেশি একটি গাছের পাতা। প্রতিদিন খালিপেটে ২ টি পাতা সেবনে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার-এমনটাই দাবি চীন এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স। এটা চীন এবং সুইজারল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে ডান্ডালিউয়েন নামেও বেশ পরিচিত। চীন, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিশ্ব জয় করে এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এন্টি
ডায়াবেটিস এই গাছটির পাতা এবং পাতার রস সেবনে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায়
আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। গাছটির ২ টি পাতা প্রতিদিন খালি পেটে সেবনে সুগার এবং
কলস্টেরল নিয়ন্ত্রণই করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন সকালে
খালিপেটে ২ টি পাতা সেবন করলে তার কিডনি ও লিভার সতেজ থাকবে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে
ব্লাড প্রেশার ।
তবে ইনসুলিন
ব্যবহারকারী এবং গ্যাস্ট্রিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে ২ টি পাতা এবং
রাতে শোবার আগে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে।এছাড়া সুগার স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় আরো
কমিয়ে হাইপোগ্লামিয়ার বিপদ থেকেও রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও
বৃদ্ধি করে এই গাছের পাতা। ।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, প্রথম দুই মাস ডায়াবেটিস এর নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি খালি
পেটে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে। দুই মাস পর থেকে শুধু ২ টি করে গাছের পাতা খেলেই
চলবে।এই গাছের পাতার সাথে রসুন, নিমপাতা, কাঁচা তেঁতুল পেস্ট করে একদিন রোদে
শুকিয়ে ছোট মার্বেলের মতো অনেকগুলো বল বানিয়ে, আবার একদিন রোদে শুকিয়ে, একটি এয়ার
টাইট বোতলে সংরক্ষণ করার পর, প্রতিদিন চিবিয়ে ১/২ টি বল খেয়ে পানি পান করলে
কার্যকারিতা আরো ভালো হয় এবং ডায়াবেটিস থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে । এই গাছের পাতা
হার্টের রোগেও ভাল কাজ করে।
বিশ্বের অনেকেই এখন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই হার্ব গাছটি সংগ্রহে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ভেষজ ওষধি
গুণসম্পন্ন এই গাছটি বেঁচে থাকে ২৫ বছর।সর্বোচ্চ ৩ ফুট লম্বা হয়। এরপর ডালপালা
বিস্তার করে জঙ্গলের মতো হয়ে যায়। তবে এ গাছে সকাল-বিকাল নিয়মিত পানি দিতে হয়।
স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এ গাছের জন্য বেশ উপযোগী। সর্বনিম্ন ১০ ইঞ্চি টবে গোবরের সার
ও মাটি মিশিয়ে চারা রোপণ করতে হবে। বছরে অন্তত দুই বার মিশ্র সার ব্যবহার করতে
পারেন। এই গাছটি ঘরের বারান্দায়, বাড়ির ছাদে ও টবে নিশ্চিন্তে লাগাতে পারেন। তবে
সরাসরি মাটিতে এটা বেশ ভালো হয়।
এছাড়া এই পাতা ক্যান্সার
প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এই গাছের পাতা খেলে ডায়াবেটিস টাইপ-২ কমবে বলে
দাবি করা হচ্ছে। বর্তমানে এটির নামডাক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনসহ সারা বিশ্বে
এটি এন্টি ভাইরাস হিসেবেও খুব পরিচিত।
No comments:
Post a Comment