Best healthcare shop in Chittagong,
মেহেদি পাতার ঔষধি গুণ
মেহেদির ওপর নাম হেনা. হেনা মানব সমাজের জন্য এক প্রকৃতির অনবদ্য দান। হেনার ভেষজ গুনাগুন সহস্র বর্ষের প্রাচীন। এর রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল, এন্টি-ইনফ্লেমেটরী, কুলিং ও হিলিং, এন্টিইরিটেন্ট ও সিডেটিভ গুণাগুণ। অত্যান্ত উপকারি ভেষজ হেনার পাতা ও ফুল হতে আহরিত তেল অনেক চর্ম মলম তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।মেহেদি পাতা চামড়ায় ক্ষত, পোড়া ও চামড়ার ফ্যাকাসে হলুদ দাগ চিকিৎসায় অত্যান্ত কার্যকরী ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয়। স্কেবিস, চর্মের চুলকানি জাতীয় ও নখের ফাটার চিকিৎসায় হেনা পেস্ট ব্যবহার হয়।
ময়েশ্চার ধারণের ফলে কোন অঙ্গ স্ফিতীর রোধে এক প্রকার ডিসল্ভিং ফ্যাক্টর গঠনে কাজে লাগে। ও ভিটামিন-বি এর ঘাটতি জনিত পায়ের পাতার জ্বালা-পোড়ার ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে স্বস্তি প্রদান করতে পারে।
হেনার পাতা দিয়ে গরম করা সরিষার তেল চুলের স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এক্ষেত্রে ২৫০ গ্রাম সরিষার তেল একটি পাত্রে সিদ্ধ করার সময় ৬০ গ্রাম হেনা পাতা ক্রমান্বয়ে যোগ করা হয়; তারপর একটি কাপড় দিয়ে ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করা হয়।
লিভারের বৃদ্ধি ও জন্ডিসের চিকিৎসায় এর বাকল ব্যবহার করা যায়।জন্ডিস হলে মেহেদি গাছের মূল আতপ চাল ধোয়া পানি দিয়ে ঘষে ২ চা চামচ ৮ থেকে ১০ দিন সকালে ও বিকালে খেলে ৪ থেকে ৫ দিনেই রোগী আরোগ্য লাভ করে। ঔষধ খাওয়ার সময় ডাবের পানি ও আখের রস খেলে আরো ভাল কাজ করে।
হেনা পাতা দিয়ে গরম করা পানি দিয়ে কুলকুচা করা যায় বা আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যায়।
কৃমি হলে মেহেদি পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি মজে যায়।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করলে মেহেদি পাতা,নিম গাছে ছাল,আনারসের ডগা,কাঞ্চন পাতা, এলাচ, লং, গোল মরিচ এক সাথে ছেঁচে রস করে চিনি মিশিয়ে কাপড় দিয়ে ছেকে দিনে তিন বার ভাত খাওয়ার আগে আধা কাপ পরিমাণ খেলে এই রোগ উপশম হয়।
মেহেদি গাছের বীজ,কাঁচা হলুদ,সাজনা গাছের মূল একসাথে বেটে এক ছটাক পরিমাণ রস মাসিক হওয়ার পর খেলে জন্মনিয়ন্ত্রন
হয়।
মাথায় খুসকি হলে বা চুল উঠলে মেহেদি পাতার রস চুলে লাগালে ভাল উপকার পাওয়া যায়। খুশকি দূর করতে মেহেদি
বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে
ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে
ঝলমলে সুন্দর।
একজিমা হলে মেহেদি পাতা,অশ্বমূল ও আদা এক সাথে বেটে একটু গরম করে দিনে ৩ বার মাখলে একজিমা ভাল হয়ে যায়।এ ভাবে ৭ দিন ব্যবহার করতে হয়।
মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে
দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে
অনেকখানি। ঘামে দুর্গন্ধ হলে মেহেদি পাতা সিদ্ধ করে গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়।
এই
মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউতওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন।
এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত
করে তোলে।
পুরোনো
ক্ষত, যেগুলো বারবার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি।
মেহেদিপাতা বেটে এ রকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।পানি পচা রোগ সাধারণত নোংরা,
জীবাণুযক্ত পানি লেগে এই রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও এ রোগ হতে
পারে। এতে আঙুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে
রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।
বলিরেখা
দূর করতেও মেহেদির তুলনা নেই। ভাবছেন ত্বক লাল হয়ে যাবে কি না? মুখের ত্বকে
মেহেদি ব্যবহারের নিয়মটি পুরো আলাদা। আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিন
কয়েক ফোঁটা মেহেদিপাতার রস। আর ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। নিয়মিত
ব্যবহারে বলিরেখা হবে বিলম্বিত।
শীতকালে
তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বারো মাস পা ফাটার সমস্যা থাকে। এছাড়া চামড়া
ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদিপাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে
রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।
|
No comments:
Post a Comment